রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর তাকে শ্রদ্ধা জানাতে বাকিংহাম প্যালেসের বাইরে জড়ো হয়েছেন হাজারো মানুষ।
শোকের মধ্যেই সড়কে দাঁড়িয়ে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত গাইতে দেখা দেখা যায় তাদের। খবর বিবিসির।
বৃহস্পতিবার রানির মৃত্যুর ঘোষণা দেওয়ার পর প্যালেসের পতাকা অর্ধনমিত করা হয়। এ সময় প্যালেসর বাইরের চত্বরে শত শত মানুষকে শোক প্রকাশ করতে দেখা যায়। দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকা রানিকে শ্রদ্ধা জানাতে ছুটে আসেন অনেকেই।
এর আগে ওইদিন দুপুরে বাকিংহাম প্রাসাদ থেকে যখন জানানো হয়, রানি চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে রয়েছে, তখনই তাঁর স্বাস্থ্য নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। এ কারণে মৃত্যুর খবর ঘোষণার আগেই সাধারণ মানুষ রানির সুস্থতা কামনায় বাকিংহাম প্যালেসের ফটকে ফুল দিতে আসেন।
রানিকে শ্রদ্ধা জানাতে আসা শিলা বিল্লাইগু (৭৭) নামে একজন বলেন, সবাই এখানে আছে বলে আমার খুব খারাপ লাগছে। পতাকা না দেখা পর্যন্ত আমি জানতামই না যে রানি মারা গেছেন।
শিলার মতো মাইকেল হ্যামন্ড নামের এক তরুণ অর্ধনমিত পতাকা দেখে রানির মৃত্যুর খবর জানতে পারেন। তিনি বলেন, আমি একেবারে হতাশ। আমি ভেবেছিলাম তিনি ব্রিটিশ চেতনার প্রতিফলন ঘটিয়েছেন।
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ বেশ কিছুদিন ধরে বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। হাঁটাচলা ও দাঁড়িয়ে থাকতে তাঁর সমস্যা হচ্ছিল। স্কটল্যান্ডের বালমোরাল ক্যাসলে অবস্থানকালে বৃহস্পতিবার বিকেলে তিনি মারা যান বলে ঘোষণা দেয় বাকিংহাম প্যালেস। মৃত্যুর খবর শুনে ক্যাসলের বাইরে ফুল দিয়ে রানিকে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন সাধারণ মানুষ।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।